Macro Photography Part -01 – ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি পর্ব -০১ 3

প্রারম্ভিক ধারণাঃ

Macro Photography বা ম্যাক্রোগ্রাফি ফটোগ্রাফি জগতের অন্যতম জনপ্রিয়  একটি শ্রেণী। সাধারণ অর্থে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বলতে বুঝায় কোন ক্ষুদ্র জড় অথবা জীবিত বস্তুর এমন সবিশেষ ছবি ধারণ ধারণ করা যা সাধারণত খালি চোখে মানুষ কখনো দেখতে পারেনা। অর্থাৎ কোন একটি ছবিকে শুধু তখন ম্যাক্রোফটোগ্রাফ/ম্যাক্রোছবি বলা যাবে যখন ছবিতে সাবজেক্টকে তার লাইফ সাইজ বা সাধারণ আকারের তুলনায় ডিটেইল সহ বৃহৎ দেখা যাবে। আধুনিক তত্ত্ব অনুযায়ী এক্ষেত্রে ফ্রেমে আসা সাবজেক্টের ভার্টিকাল লাইফ সাইজ ২৪ মিলিমিটার বা তার ছোট হতে হবে।

কীটপতঙ্গ তাদের ক্ষুদ্র দেহাকৃতি ও সুন্দর গঠনের জন্যে বরাবরই ম্যাক্রোফটোগ্রাফাদের প্রিয় সাবজেক্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। কীটপতঙ্গ/ পোকামাকড় প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং প্রকৃতির বাস্তুসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ম্যাক্রোফটোগ্রাফির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ প্রকৃতিকে খুব নিকট থেকে অবলোকন করার এবং প্রকৃতিকে গভিরভাবে জানার সুযোগ পায়। এভাবে মানুষের মনে প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা জন্মে। সুতরাং এটা বলাই যায় প্রত্যেক ম্যাক্রোগ্রাফার প্রকৃতি রক্ষায় পরোক্ষভাবে ভূমিকা পালন করে। ইনসেক্টের ছবি ম্যাক্রোফটোগ্রাফির একটি বিশাল পরিসর দখল করে থাকলেও ম্যাক্রোফটোগ্রাফি কিন্তু শুধু ইনসেক্ট বা প্রাকৃতিক ক্ষুদ্রাকৃতির জীবিত বস্তুর ছবি তোলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ম্যাক্র্যো করা যেতে পারে যেকোন কিছুর। সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে এমন যেকোন ক্ষুদ্রাকৃতির বস্তু হতে পারে ম্যাক্রোগ্রাফির সাবজেক্ট।

ম্যাক্রোফটোগ্রাফির জন্য উপকরণ সমূহঃ

বর্তমানে ফটোগ্রাফির জন্য সব থেকে জনপ্রিয় ক্যামেরা ডিভাইস হলো ডিজিটাল এস.এল.আর বা DSLR. আমাদের দেশে সাধারণত ডিএসএলআর -এ মোটামুটি চারটি উপায়ে ম্যাক্রো করা হয়ে থাকে।

১. ম্যাক্রো লেন্স ব্যবহার করেঃ এসব লেন্স ম্যাক্রো এবং ক্লোজআপ ফটোগ্রাফি করার জন্যই বিশেষ ভাবে প্রস্থুত করা হয়। এগুলো অত্যান্ত ব্যায়বহুল এবং সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। তবে ব্যাবহুল হলেও মান সম্পন্ন ম্যাক্রোগ্রাফি করতে চাইলে  ম্যাক্রোলেন্সের জুড়ি মেলা ভার। যেমনঃ Nikon 105mm Micro

২. এক্সটেনশন টিউবঃ সাধারণ DSLR লেন্স এর সাথে এক্সটেনশন টিউব লাগিয়ে ম্যাক্রো করা সম্ভব। যেমনঃ Nikon 24-70  + Kenko Extension Tube. অনেক সময় ম্যাক্রো লেন্সের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যেও এক্সটেনশন টিউব ব্যবহার করা হয়।

৩. রিভার্স রিংঃ যে কোন সাধারণ DSLR লেন্সকে বিপরীত প্রান্তে ঘুরিয়ে ব্যবহার করলে ম্যাগনিফিকেশন ক্ষমতা বেড়ে যায়। রিভার্স রিং সমূহ অনেক সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য।

৪. ম্যাক্রো ফিল্টারঃ ম্যাক্রো ফিল্টারগুলো ম্যাগ্নিফাইং গ্লাসের মত কাজ করে। এগুলো খুব সহজেই লাগানো যায়, তবে ম্যাক্রো ফিল্টার দিয়ে মান সম্পন্ন ম্যাক্রো করা খুব দুষ্কর ব্যাপার।

ম্যাক্রোফটোগ্রাফিতে ভাল লেন্স ছাড়াও আরো দুটি বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ন। প্রথমত ম্যাক্রোগ্রাফিতে অনেক অনেক আলো প্রয়োজন এ জন্য বিল্ট ইন ফ্লাস ছাড়াও থার্ড পার্টি লাইটের ব্যাবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয়ত প্রয়োজন স্টিডিনেস, সামান্য নড়া চড়াও ছবির মানকে অনেক বেশি মাত্রায় খারাপ করে দিতে পারে। এ সমস্যা এরানোর জন্যে স্ট্যান্ড বা ট্রাইপড ব্যবহার করতে হবে।

তবে DSLR ছাড়াও সাধারণ ডিজিটাল কমপেক্ট ক্যামেরা এমনকি মোবাইল ফোনেও ম্যাক্রোগ্রাফি করা সম্ভব। উপরের দুটি ছবি মোবাইল ডিভাইসের সাথে ম্যাক্রো লেন্স লাগিয়ে তোলা হয়েছে। কিভাবে মোবাইল ফোন দিয়ে ভাল ম্যাক্রোগ্রাফি করা সম্ভব সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে দ্বিতীয় পর্বে

3 Comments

  1. এটা ব্যবহার করবো কিভাবে? মোবাইল ক্যামেরায় লাগামের পর সব শুধু ঘোলা আসে

    1. স্যার ম্যাক্রো লেন্স ব্যাবহার করার জন্য আপনাকে Object এর কাছে জেতে হবে। Object কে ফোকাস করার জন্য Object এর অন্তত ১ -০.৫ ইঞ্চি কাছে গিয়ে ফোকাস করতে হবে। তাহলে Object টি ক্লিয়ার আসবে।
      লেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এই লিঙ্কেঃ https://sourceofproduct.com/blog/introducing-different-types-of-smart-phone-macro-lens/

Leave a Reply

Home
Hot Deals
Account
0
Cart